প্রধানমন্ত্রীকে নিজের দুর অবস্থার কথা জানিয়ে এসএমএস পাঠিয়ে প্রতিদানে জমিসহ পাকা ঘর পেলেন নানার বাড়িতে বসবাসরত প্রতিবন্ধী পিতৃহীন কলেজছাত্র বাবু মিয়া।
মাগুরার হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দুইশত সরকারি খাস জমিতে সেমি পাকা দুই কক্ষের টিন সেডের নির্মিত ঘরটি তাকে তুলে দেন কৃর্তপক্ষ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর পেলেন মাগুরার মেরিনা
শনিবার দুপুরে প্রতিবন্ধী বাবু মিয়ার কাছে বাড়ি ও জমির দলিল হস্তান্তর করেন মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম।
প্রতিবন্ধী বাবু মিয়া বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর মাকে নিয়ে নানা বাড়িতে থেকেছি। আমার কোন জায়গা জমি ছিল না। মাকে নিয়ে কোথায় যাব কোথায় থাকবো। এই চিন্তা থেকেই গত এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রীর মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে সেখানে আমার দুরাবস্থা জানিয়ে একটি ঘর চেয়ে এসএমএস পাঠাই। এসএমএসটি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। পরে মাগুরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই ঘর করে দেয়ার ব্যবস্থা নেন। যেটি হস্তান্তর করা হলো।
আরও পড়ুন: মাসে এক কোটির বেশি টিকার ব্যবস্থা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
এসএমএসে তিনি লিখেন,‘আমি প্রতিবন্ধী বাবু মিয়া, মাকে নিয়ে ছোট বেলা থেকে নানা বাড়িতে জীবনযাপন করছি। আমাদের কোন জমিজায়গা নেই। আমার মাসহ আমাদের পাঁচ সদ্যসের সংসার। একটি মাত্র ঘর। আমার একটি ঘর অতি দরকার। প্রধানমন্ত্রী আমার একটি ঘর করে দিলে চির কৃতজ্ঞ হবো।’
জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম জানান, এসএমএসটি পড়ে প্রধানমন্ত্রী আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নির্দেশনা অনুযায়ী বাবু মিয়ার খোঁজ খবর নিয়ে অসহায়ত্বের সত্যতা মেলে। এরপর হাজরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সহযোগীতায় হাজরাপুর পুরাতন বাজার মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের পাশে দুইশতক জমিতে পাকা ঘর করে নির্মাণ করে জেলা প্রাশাসনের পক্ষ থেকে বাবু মিয়াকে ঘর ও জমির দলিল বুঝে দেয়া হলো।
আরও পড়ুন: তিস্তার ভাঙন: কুড়িগ্রামের ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি নদী গর্ভে
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন কবির, হাজরাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কবির হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।